কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মিশুকচালক বলরাম মজুমদার (১৫) হত্যার ছয় মাস পর খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে ওই ঘটনায় শ্যামল চন্দ্র দাস (৩২) ও আবদুল খালেক তোতা মিয়া (৫২) নামে দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার কোম্পানীগঞ্জ ও সেনবাগ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি কর্মকর্তা জানান,গত ৩১ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের পর ১ মার্চ ক্লু-লেস মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। পরে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাশেম মজুমদার তদন্ত রে চার আসামিকে শনাক্ত করেন। তাদের মধ্যে আসামি শ্যামল ও আবদুল খালেককে গ্রেফতার করা হলো। তাদের কাছ থেকে বলরামের ব্যাটারিচালিত মিশুকের তিনটি চাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক দুইজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলেছে।
গ্রেফতার শ্যামল সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের নলদিয়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র দাসের ছেলে এবং আবদুল খালেক কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
এদিকে বিকেলে আসামি শ্যামল চন্দ্র দাস চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. এমদাদের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামি আবদুল খালেক চোরাই মিশুকের ক্রেতা। পরে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামি শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, ঘটনার চার-পাঁচদিন আগে পলাতক দুই আসামির সঙ্গে ১০ টাকা ভাড়া নিয়ে মিশুকচালক বলরামের ঝগড়া হয়। এর জেরে গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তারা তিনজন বসুরহাট কলেজ গেট থেকে বলরামের মিশুক ভাড়া করে চরকাঁকড়া মহিষের ডগি নিয়ে যান। পরে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস চৌকিদার বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে ধানক্ষেতে স্কচটেপ দিয়ে নাক-মুখ পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
শ্যামল আরও জানান, পরে বলরামের মিশুকটি আসামি নাজমুল ও শাওন নিয়ে গিয়ে আবদুল খালেক তোতা মিয়ার কাছে ২৭ হাজার টাকা বিক্রি করেন। সেখান থেকে তাকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা পলাতক নাজমুল ও শাওন নিয়ে যান।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বকসি ব্যাপারী বাড়ির সামনের ধানক্ষেত থেকে বলরামের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বলরাম কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সনাতন মহাজন বাড়ির লনি গোপালের ছেলে।
Author: Munna
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
এ সম্পর্কিত আরও খবর
- ব্লগার মন্তব্
- ফেইসবুক মন্তব্য