মুস্তফা মনওয়ার সুজনের ‘অতিপ্রাকৃত অথবা কাকতালীয়' উপন্যাস এখন একুশে বই মেলায়

প্রতিবেদক:এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বেরিয়েছে মুস্তফা মনওয়ার সুজনের লেখা বিজ্ঞানভিত্তিক উপন্যাস  ‘অতিপ্রাকৃত অথবা কাকতালীয়’ ।

উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে বিশ্ব সাহিত্য ভবন। দাম ৩০০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার সোহরাওয়াদী উদ্যানের ৪ নম্বর প্যাভেলিয়নে।

বিজ্ঞানের অসহায়ত্বে নিয়তি বা ধর্মের ধারণা এই উপন্যাসে ভেঙেচুরে মিলিয়ে গেছে। পাশাপাশি অশরীরীর উপস্থিতি ও কর্মকাণ্ড যুগিয়েছে গভীর ভাবনার খোরাক।উপন্যাসটির লেখক মুস্তফা মনওয়ার সুজন ।উপন্যাসটির লেখক মুস্তফা মনওয়ার সুজন শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র ছিলেন। ২০ বছর ধরে সাংবাদিকতা করেন। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন নিয়ে গবেষণা করেছেন। এ নিয়ে রয়েছে কর্মযজ্ঞ। তার রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মতবাদ’ গ্রন্থটি শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাসভুক্ত। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ডায়রি ‘একাত্তরের ডিসেম্বর’ তার লেখা।অতিপ্রাকৃত অথবা কাকতালীয়’ মুস্তফা মনওয়ার সুজনের লেখা সূক্ষ্ম চিন্তার বৈজ্ঞানিক দর্শনবিষয়ক উপন্যাস।

এতে জীবিত মানুষের আত্মার কার্যক্রমের পর্যবেক্ষণ রয়েছে নিবিড়ভাবে। দেহবিচ্ছিন্ন আত্মা অনুসরণে পদার্থবিদ্যা, নিউরোলজি ও মনোবিজ্ঞানের আশ্রয়ে উঠে এসেছে ততোধিক অনুসিদ্ধান্ত। দেখানো হয়েছে প্রাণ অ্যাবসলিউট নাও হতে পারে। অনেকটা পারদের মতো; বিচ্ছিন্ন হয়ে আবার একত্রিত হওয়ার সক্ষমতা।

উপন্যাসে লক্ষণীয়, দেহত্যাগী মুক্তপ্রাণ বা আত্মার অনিয়ন্ত্রিত অদ্ভুত আচরণ, তবে প্রোগ্রামিং করা। যার যার মস্তিষ্কের গঠন অনুযায়ী প্রোগ্রাম সেট হয়। যদিও তাতে সংশ্লিষ্ট মানুষটির কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশাল নিউরনের সীমাবদ্ধতায় উদ্ভূত ঘটমান পুনঃপুনঃ সংকট সংক্রান্ত বহুমুখী যুক্তিতর্ক এতে উল্লেখযোগ্য।বইটিতে উত্থাপিত সাইন্টিফিক ফিলসফি মুহূর্তে মুহূর্তে চমকিত করেছে।

উপন্যাস সম্পর্কে লেখক মুস্তফা মনওয়ার সুজন বলেন, ‘ উপন্যাসটি জীবনের নিগুঢ় মনোজাগতিক দ্বন্দ্ব-বিরোধ-সংঘাত নিয়ে । এর কেন্দ্রীয় চরিত্র রঞ্জুকে ঘিরে ঘটনার ঘনঘটা জন্ম দিয়েছে প্রশ্নের পর প্রশ্ন। পদার্থবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান ও প্রাণবিদ্যার বহুমুখী জিজ্ঞাসা উঠে এসেছে তার রহস্যঘেরা জীবনের ঘটনা পরম্পরায়।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.