কোম্পানীগঞ্জের ওসি প্রত্যাহার চাইলেন কাদের মির্জা

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমানকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি জানান।

কাদের মির্জা বলেন, গত কয়েকদিনে কোম্পানীগঞ্জে চুরি -ডাকাতি বেড়ে গেছে। চালকের চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে অটোরিকশা চুরি করতে গিয়ে পুলিশ সদস্য আটক হয়েছে। এর আগেও এক অটোরিকশাচালকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ পাওয়া গেছে। কোম্পানীগঞ্জের মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

ওসিকে আওয়ামী লীগ বিরোধী উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, এই ওসির নিয়োগ হয়েছে ২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের সময়ে। তার রোল নম্বর ছিল ৭৬৪। সে বিএনপি নেতা শফিউল বারীর রেফারেন্সে পুলিশের চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছে। সে সুকৌশলে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

কাদের মির্জা বলেন, পুলিশের রাজত্ব দেখার কেউ নাই। দক্ষিণ এলাকার সকল প্রজেক্ট দিয়ে মাস ওয়ারী টাকা নিচ্ছে পুলিশ। ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে সে (সাজ্জাদ রোমান)। এমনকি মেম্বার প্রার্থীদের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে। আমরা এই ওসির প্রত্যাহার চাইছি।

কাদের মির্জা আরও বলেন, প্রশাসন টাকা নিয়ে পাঁচটা ইউনিয়নে আমার প্রার্থীদের পরাজিত করেছে। এসব দেখার কেউ নেই। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভোট নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এখন আর এলাকার খবর রাখেন না।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের জামায়াতকে হারিয়ে তিন ভাগনেকে জেতাতে প্রশাসনকে বলেছেন। কিন্তু চরপার্বতীতে ভাগনেকে জেতাতে না পেরে আমার প্রার্থীকে হারাতে তিনি জামায়াতের প্রার্থীকে জিতিয়েছেন।

কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, নোয়াখালীর এসপি ভোটের দিন আমাকে বের হতে নিষেধ করে অপশক্তিদের মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন। তারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে ৫০ ভাগ ভোট রাতে ঢুকিয়ে আমার প্রার্থীদের হারিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কয়দিনের জন্য ওমরায় যাবো এবং আগামী ১০ তারিখ (মার্চ) চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যাবো। তারপর খেলা হবে। সমস্যাভিত্তিক আন্দোলন করবো। ভূমি দখল, খাল দখল, নদী দখলসহ সব অনিয়মের বিরুদ্ধে মাঠে নামবো।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.