চাটখিলের ওসিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের এবং দুই সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২৩ জানুয়ারি) নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৭ নম্বর আমলি আদালতে আবেদনটি করেন আবদুল ওয়াহেদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি চাটখিল উপজেলার উত্তর বদলকোট গ্রামের বাসিন্দা।

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোহাম্মদ সাফায়েত বাদীর আবেদনটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, মামলার আবেদনটি তিনি দেখেছেন। তিনি আবদুল ওয়াহেদ নামের উল্লিখিত ব্যক্তিকে চেনেন না। পরে এএসআই জাকিরকে জিজ্ঞেস করার পর জেনেছেন, জায়গাজমি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ। ওই বিরোধের জের ধরে ৯৯৯ নম্বরে এক পক্ষ ফোন করেছে, পরে তাদের বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর বেশি আর কোনো কথা হয়নি।

মামলার আবেদনে আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, চাটখিল উপজেলার বদলকোট মৌজার বিএস ১২৪৬ খতিয়ানের ১০২৮ দাগে তার দখলীয় জায়গা ১৩ জানুয়ারি সকালে প্রতিপক্ষ মো. শহিদুল্লাহ ও মো. পারভেজ দলবল নিয়ে দখল করতে আসেন। তিনি বাধা দিলে প্রতিপক্ষ তাকে হুমকি দিয়ে বলে তারা ‘থানা-পুলিশ কন্ট্রাক্ট করে এসেছে, কোন প্রকার বাধা দিলে এখানে লাশ পড়বে।’

আবদুল ওয়াহেদের অভিযোগ, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি জাতীয় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। যার ভিত্তিতে চাটখিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াহেদ ঘটনাস্থলে গেলে দখলকারীরা পালিয়ে যান। পরে একই থানার দুই এএসআই জাকির হোসেন ও মো. সুমন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করায় নানা হুমকি-ধমকি দেন।

দুই এএসআইয়ের কথা অনুযায়ী কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাদের রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়। আর বিপরীতে প্রতিপক্ষকে রাতের অন্ধকারে জায়গা দখলের সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রতিপক্ষ জেনারেটরের আলোয় জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। রাতে বাড়িতে এসে দখলের ঘটনা দেখার পর পরদিন পুনরায় থানায় গেলে দুই এএসআই তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।

আদালতের পেশকার মতিউর রহমান জানান, মামলার আবেদনটি পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.