নোয়াখালীতে সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি, করোনা আতঙ্ক

স্বাস্থ্য ডেস্ক :: নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরে ঘরে হঠাৎ সর্দি, জ্বর ও কাশির প্রকোপ বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এসব রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বাড়তি চাপ বেড়েছে। অপরদিকে, করোনার উপসর্গ ও ভাইরাসজনিত রোগের উপসর্গ একই হওয়ায় দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে রয়েছেন অনেকেই।

মাইজদী শহরতলীর দত্তের হাটের বাসিন্দা আনন্দ, রিয়া জানান, প্রথমে দুপুরে একটু মাথা ও জ্বর জ্বর ভাব। হালকা শুকনো কাশি। তবে খুব একটা বেশি না। রাতে ১০০-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত জ্বর। পরে শুরু হয় সর্দি। করোনার ভয়ে আতঙ্কিত তারা। এজন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা।

মাহবুব নামে এক ব্যক্তি জানান, জ্বর না কমায় তিন দিন পর করোনার পরীক্ষা করান তিনি। পরে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। জ্বরও কিছুটা কমে গেছে। তবে শরীর ব্যথা ও দুর্বল।

এমন চিত্র শুধু একটি পরিবারের নয়। নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের ঘরে ঘরে এখন জ্বর সর্দির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ঘরের একজনের জ্বর হলে, অন্য সকলেরই জ্বর হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন, এটা নাকি মৌসুমি জ্বর। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে বেশি করে তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়াকুব আলী মুন্সী জানান, এ জ্বর হলো সিজনাল ফ্লু। যখন দিনে বেশি গরম ও রাতে কিছুটা ঠান্ডা হয়, তখন এ ধরনের জ্বর ও সর্দি হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। ভয়ের কিছু নেই।

তিনি আরো জানান, এই জ্বর হলে অনেকেই নিজের মতো করে নাপা বা অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খান। এটা মোটেও ঠিক না। যদি জ্বর হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসক দেখিয়ে তার পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। কেননা, এখন করোনাভাইরাসও রয়েছে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, এটা সিজনাল ফ্লু, এক জাতীয় ভাইরাস। তবে আতঙ্কের কিছুই নেই।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.