হাতিয়ায় ইউপি সদস্য প্রার্থীকে হত্যার ঘটনায় চেয়রম্যান ও মেম্বারসহ ৫৫জনকে আসামি করে মামলা

হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা :: নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী জোবায়ের হোসেনকে (৪৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৫৫জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে।

রবিবার (৯ মে)  দুপুরে নিহত জোবায়ের হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান জীবন বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সোনাদিয়া ইউনিয়নেন ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল বাতেনকে প্রধান ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মালেশিয়াকে ২নং আসামি করে ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া আরো ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করা হয়। হাতিয়া থানা মামলা নং ১০।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (৭ মে ) সকাল ১১টায় সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন চরচেঙ্গা বাজারে  পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোনাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মালেশিয়ার নির্দেশে তার শালাসহ তার অনুসারীরা জোবায়েরকে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪ জন। নিহত জোবায়ের সোনাদিয়া ইউনিয়নের মধ্য চরচেঙ্গা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। সে সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে  ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী ছিল।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত জোবায়েরকে শনিবার বিকালে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মধ্য চরচেঙ্গা নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাপন করা হয়। তাঁর জানাজায় হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, পৌর মেয়র কে এম ওবায়েদ উল্যাহ সহ প্রায় ৫ শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের ছেলে জীবন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন সকালে তাঁর বাবা চরচেঙ্গা বাজারে তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করছিল । এসময় উত্তর দিক থেকে ইউপি সদস্য বাতেনের  নেতৃত্বে একদল স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে তাঁর বাবাকে আক্রমণ করে প্রথমে গুলি করে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দিয়ে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা সবাই বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের সমর্থক। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় সে সহ আরো তিনজন আহত হয় বলে জানান জীবন।

জীবন আরো জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাঁর পিতা জোবায়ের মেম্বার প্রার্থী হলেও সে ছিল আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মেহেদী হাসানের একনিষ্ঠ সমর্থক। বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মাঠ দখলের চেষ্ঠা অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে নির্বাচনের প্রথম থেকে তাঁর বাবার বিরোধ চলে আসছে।

হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামিসহ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.