কাদের মির্জাকে অব্যাহতি : পরে স্থগিত

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক সংবাদ সম্মেলন থেকে পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামী সোমবার বসুরহাটে মানববন্ধন কর্মসূচি দেন আবদুল কাদের মির্জা। একই দিন বসুরহাটে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছেন মিজানুর রহমান বাদল।

এদিকে আবদুল কাদের মির্জাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ এবং সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সেটি প্রত্যাহার করেছে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী প্রথমে দলীয় প্যাডে কাদের মির্জাকে অব্যাহতির বিষয়টি জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সেটি প্রত্যাহারের কথা যায়যায়দিনকে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি।

এর আগের খবরে বলা হয়, নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর সভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

জেলা আওযামী লীগের প্যাডে দলের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী এমপি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ হয়, ‘বিগত কয়েক সপ্তাহ থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র জনাব আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে গুরুতরভাবে আহত করায় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মিথ্যা, অশালীন বক্তব্য ও আপত্তিকর উক্তি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সংগঠন বিরোধী অশোভনীয় মন্তব্য ও নেতাকর্মীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে আব্দুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

সংগঠন বিরোধী উল্লেখিত কারণ ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুল কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সস্যপদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সুপারিশ পেশ করা হয়।’

এ বিষয়ে জানতে সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.