কোম্পানীগঞ্জে বৃদ্ধার খুনের রহস্য উদ্ঘাটন, ২ খুনি আটক

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জহুরা খাতুন (৭০) খুনের রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত, ২ আসামিকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলো, নিহত বৃদ্ধার ছেলে মো. ইলিয়াছ’র বউ জোসনা আরা বেগম রুনি (৩৬) ও রামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো.আশিক (২৩)।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় ওই বৃদ্ধ খুনের ৪দিন পর সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এ খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার নিহতের ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে ৩জনসহ অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দায়ের করেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহীদ হোসাইন জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান’র নেতৃত্বে মামলার সন্দেহভাজন আসামি আশিক ও জোসনা আরা বেগম রুনিকে ঘটনার চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে কৌশলে আটক করা হয়। এক পর্যায়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জোসনা আরা বেগম রুনি এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকার করে।  পরে তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালতে তারা স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত জহুরা খাতুন (৯০) এর সাথে তার পুত্রবধূ  রুনি’র সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদসহ কলহ লেগেই থাকত। রুনির স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে সে অন্য ছেলের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। পুত্রবধূ রুনি পারিবারিক কলহের জের ধরে তাহার সহযোগী গ্রেফতারকৃত আসামি মো. আশিক ও অপর পলাতক আসামি সহ ৫০০০ টাকার বিনিময়ে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত অনুমানিক ৮টা  থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তার শাশুড়ি জহুরা খাতুনকে তার প্রবাসে থাকা নাতীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার অজুহাতে কৌশলে ঘর থেকে বাহির করে নিয়ে হত্যা করে। পরে বাড়ি থেকে ৪০০ মিটার পশ্চিমে ধান ক্ষেতে কাদা পানিতে মাথা ডুবিয়ে লাশ গোপন করে রাখে।

শনিবার (৫সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে জহুরা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.