বন্দরনগরীর লালখান বাজার এলাকায় শনিবার রাতে খুলশী থানা পুলিশের টহল দলের একটি গাড়িকে ধাক্কা দেওয়ার পর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
খুলশী থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, “সংসদ সদস্যের ছেলে শাবাব চৌধুরী নিজেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। পুলিশের গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান হয়ে গেছে।”
এর আগে ২০১৮ সালের জুন মাসেও একবার ঢাকার মহাখালীতে গাড়ি চাপায় সেলিম ব্যাপারি নামের এক চালকের মৃত্যুর পর শাবাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় তদন্তে জানা গিয়েছিল, গাড়িটি সাংসদপত্মী কামরুন্নাহার শিউলির নামে, তবে চালাচ্ছিলেন তার ছেলে শাবাব।
ওই ঘটনায় এককালীন ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং মাসে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে আপস করে পার পেয়েছিল সাংসদ একরামুল করিমের পরিবার।একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীর-৪ আসনের সংসদ সদস্য হলেও চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকায় তার পরিবারের বাড়ি রয়েছে। শনিবার রাতে খুলশী থানার এক উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মতিঝর্ণা এলাকায় স্থানীয়দের দুই পক্ষের সংঘর্ষের একটি ঘটনা তদন্ত করতে যায়। লালখান বাজার থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয় বিপরীত দিক থেকে আসা শাবাব চৌধুরীর গাড়ি।
ওই ঘটনার পর গাড়ি থেকে নেমে শাবাব পুলিশের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ গাড়িসহ শাবাবকে খুলশী থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন পুলিশ সদস্য জানান, রাতে থানায় দুই পক্ষের আলোচনার পর শাবাবের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাকে ছাড়া হয়।
এ ব্যাপারে কথা বলতে শাবাব চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার বাবা সাংসদ একরামুল করিমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.